Eulogy to my parents – from a student of my mom
This one is written by Antara – my mom’s student from elementary school …
Incidentally, Antara and her parents moved into the same house when my parents moved to aa different one in 2005.
Also, Antara now lives close to our house in Atlanta!
Written on: Dec 23, 2021
Antara Choudhury
শ্রদ্ধেয় মন্জুমিস ও জেঠুর স্মৃতিচারনায় কিছু কথা
মন্জুমিস কে প্রথমবার দেখি ক্লাস ওয়ানের প্রথমদিন। আমাদের ক্লাসে তিনটে সেকশন ছিল, A আর B বাংলা মিডিয়াম, আর C ছিল হিন্দি মিডিয়াম। তিনটে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা ৬০/৭০ জন ছাত্রছাত্রী। উচ্চতায় ছোট ছিলাম বলে একদম সামনেই ছিলাম আমি। একটা লাল পাড়, সাদা জমির বুটি দেওয়া তাঁতের শাড়ি, কাঁধে ব্যাগ আর হাতে ছড়ি। ছড়িটার কারনে প্রথমদিন একটু ভয়ই পেয়েছিলাম, কিন্তু আস্তে আস্তে পরিচয় বাড়লে সেই ভয়টা কেটে যায়। আমি ছিলাম B সেকশনে আর মন্জুমিস ছিলেন A সেকশনের ক্লাস টিচার। আমাদের অঙ্ক পড়াতেন উনি। হাতে সবসময় ছড়ি থাকলেও, টেবিলে আওয়াজ করে ক্লাসে চুপ করানো ছাড়া আর কোনো ব্যাবহার করতে দেখিনি। গভীর মমতায় আগলে রেখে পড়াতেন আমাদের। শুধু বিষয় নয়, কচি কাঁচাদের emotional growth এর ওপরেও সব সময় নজর রাখতেন। পাঁচ বছর ওনার কাছে পড়েছি, হাতে ধরে অঙ্ক শিখিয়েছেন, ভুল শুধরে দিয়েছেন, এমন কি খেলাধুলায় উৎসাহ দিয়েছেন।
১৯৯৬ তে আমি আর বাবা যখন ৯/৪ বাড়িটা দেখতে যাই, খুব খুশি হয়েছিলেন। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। ঘুরে দেখিয়েছিলেন বাগানের গোলাপ গাছ, ছোট্ট হলুদ চেরীগোল্ড ফুলের গাছ, উঠোনের নারকেল গাছ সব। আমিও খুব খুশি এত সুন্দর বাড়ি আমাদের হবে সেই আশায়। জেঠুর সাথে প্রথম আলাপ সেদিনই। জেঠু আমাকে দেখে বললেন, “ক্লাস টেন খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ বাড়ির পড়াশোনার একটা ঐতিহ্য আছে।” রাজীবদা তখন এলাকায় মোটামুটি বিখ্যাত.. জয়েন্ট, আই আই টি তে টপ rank, পিনানদা ও বোধহয় তখন এলাহাবাদ আরইসি থেকে পাশ করে গেছে। আমি একটু ভয়ই পেয়ে গেছিলাম জেঠুর প্রশ্নে “কী, ঠিক করে পড়াশোনা করবে তো? ঐতিহ্যটা তো বজায় রাখতে হবে, নাকি?” মন্জুমিস আমার কম্পমান অবস্থা আন্দাজ করে আঁচলের আড়ালে নিয়ে বলেছিলেন “করবে, করবে। অন্তরাও পড়াশোনায় ভালো, ও ভালোই করবে।”
তারপর মিসরা চলে গেলেন সেন্ট পলস রোডের বাংলোয়, আর আমরা এলাম ৯/৪ এ। অনেক গুলো বছর এভাবেই। কলকাতা থেকে বাড়ি এলে, বিজয়ায়, নববর্ষে মিসের সাথে দেখা করতে যেতাম সেন্ট পলস রোডের বাংলোয়। রসগোল্লা খাওয়াতেন প্রতিবার। “না খেলে চলবেনা, বড় হচ্ছিস না? ওটুকু খেতে হবে” বলতেন। জেঠু খোঁজ নিতেন পড়াশোনার, চাকরির। কলেজ শেষ করে কগনিজেন্ট জয়েন করার আগে দেখা করতে গিয়েছিলাম। খুব খুশি হয়েছিলেন। জেঠু ও বলেছিলেন, “বাহ্ ভালো চাকরি, খুব ভালো মাইনে দেয় ওরা।” চাকরি পাওয়ার পর ঘনঘন দুর্গাপুর যাওয়া কিছুটা কমে গেলেও, মাঝেমধ্যে যেতাম – বিশেষত বিজয়ায়। জেঠুর বাজার যেতে বেশ অসুবিধে হতো, আস্তে আস্তে হাঁটতেন। একদিন বললেন ছেলে মেয়ে চাইছে কল্যানি তে গিয়ে থাকতে, বাংলো টা বিক্রি করে কল্যানি তে ফ্ল্যাট কেনার কথা চলছে।
শেষবার দেখা হয়েছিল কল্যানি চলে যাওয়ার আগে। দুর্গাপুর ছেড়ে যেতে একটু বিষন্ন ছিলেন। বলেছিলেন ছেলে মেয়ে মিলে সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সোমাদির বিল্ডিং এই ফ্ল্যাট।
মন্জু মিস আর জেঠুর স্নেহভরা প্রশ্রয়, আর অনুপ্রেরনা চিরদিন উৎসাহ যোগাবে। ওনাদের প্রনাম জানাই ও আত্মার শান্তি কামনা করি।